রামপুরহাটে উদ্ধার ১৬ হাজার কিলো বিস্ফোরক!

সঙ্কেত ডেস্ক: তেলেঙ্গানা থেকে ঝাড়খণ্ড নিয়ে যাওয়ার পথে রামপুরহাট থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। প্রায় ১৬ হাজার কেজি বিস্ফোরক আটক করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালক-খালাসি সহ মোট ২ জনকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
জানা গেছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে রামপুরহাট থানার অন্তর্গত মংসুবা মোড় এলাকায় ১৬ চাকার বিরাট বড় ট্রাকটি আটক করে পুলিশ৷ তল্লাশি চালাতেই সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৩২০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। জানা গিয়েছে, বস্তাগুলোর গায়ে থাকা ব্যাচ নম্বর মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গাড়ির কাগজপত্র, কর চালান এবং যাত্রা সংক্রান্ত একাধিক অসঙ্গতিও ধরা পড়েছে৷ বিস্ফোরক বহন করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ২ জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলার কোন্ডাপুর মণ্ডলের কোনাপুর গ্রামের বালাজি এন্টারপ্রাইজ থেকে ১৬ চাকার লরিতে বিস্ফোরক বোঝাই করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। লরিতে ৩২০ ব্যাগ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বোঝাই করা হয়েছিল। প্রতিটি বাগের ওজন ৫০ কেজি। মোট ১৬০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট গাড়িতে ছিল বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার কন্দাপুর মন্ডলের কোনাপুর থেকে এই বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক অবৈধভাবে পাঠানো হয়েছিল। ‘বালাজি এন্টারপ্রাইজ’ নামের কোনও কোম্পানির এই বিশাল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাংলায় পাঠিয়েছিল৷ পুলিশ জানতে পেরেছে পশ্চিমবাংলাতেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নামানোর কথা ছিল৷ তবে গাড়িটি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের সিরসিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল৷
ধৃত ট্রাকচালক এবং খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৩(২)/৩১৭(২) এবং ৯(বি)(ii) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পেছনে বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে৷ অভিযুক্তদের জেরা করে ঘটনার মূলে পৌঁছাতে চাইছে পুলিশ৷