সঙ্কেত ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে এযেন উলোটপুরাণ।শেখ শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যত গণঅভ্যুত্থান হল সন্দেশখালিতে। গ্রামবাসীদের প্রবল রোষের মুখে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।বুধবার বিকেলের পরে বৃহস্পতিবার সকালেও তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গাছের ডাল ভেঙে মিছিল করলেন গ্রামবাসীরা। শাহজাহান এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতদিনে তাঁর বিরুদ্ধে ঝাঁটা, লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন গ্রামের হাজার হাজার মহিলা। অভিযোগ, একটাই। শেখ শাহাজাহান একা নয়, গ্রামে এরকম আরও অনেক গুন্ডা রয়েছে, যাদের অত্যাচারে এতদিনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে গ্রামের মেয়েদের।দাবি তুললেন তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহান ও তার ২ সহযোগী উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার গ্রেফতারির।
এবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সন্দেশকালি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি উত্তম হাজরার বাড়িতে চড়াও গ্রামবাসীরা। আদিবাসী পাড়ায় গতকাল সন্ধেয় উত্তমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাজার দেড়েক জনতা। বেপরোয়াভাবে ফ্রিজ, টিভি ও আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালানো হয়। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে পালিয়ে যান তৃণমূল নেতার পরিবারে সদস্যরা।বৃহস্পতিবার সকালেও গোটা এলাকা ছিল থমথমে। চোখে-মুখে একরাশ আতঙ্কের ছাপ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তম সরদারের পরিবারে সদস্যদের।
এরই পাশাপাশি ওই দিনেই আর এক তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার ভেড়ির অফিসে চড়াও হয় গ্রামবাসীদের আরও একটি দল। ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেই অফিসটিতেও। এই শিবুও শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি স্থানীয়দের। এলাকার তৃণমূল কর্মীরা হামলার প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের ধাওয়া করে এলাকাছাড়া করে দেয় গ্রামবাসীরা। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই তৃণমূল কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকালেও গোটা এলাকা ছিল থমথমে। সন্দেশখালির মহিলারা লাঠি, বাঁশ হাতে শাহজাহানদের গ্রেপ্তারির দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।মহিলারা দাবি করেন, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। কিন্তু দলের নাম ভাঙিয়ে শাহজাহানরা যেভাবে দিনের পর দিন গ্রামে অত্যাচার করেছে তার বিহিত এবার হওয়া দরকার। সেই কারণেই লাঠি, বাঁশ হাতে মহিলারা ঘেরাও করেন সন্দেশখালি থানা।পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করে মহিলারা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *