সংবাদদাতা, কলকাতা: রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে আজ অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য প্রতিনিধি মন্ডল মুরলিধরসেন লেনে রাজ্য বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে প্রায় সারাদিন ধর্না মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল থাকলেন । হিন্দু মহাসভার মহিলা সদস্যরা আজ বিদ্যুৎপর্ণা দাস এবং শ্রাবণী মুখার্জীর নেতৃত্বে “ফুড ফর হিউম্যানিটি” মঞ্চের পক্ষ থেকে উপবাস করে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য মিষ্টান্ন এবং পাঞ্জাবি খাওয়ার বানিয়ে নিয়ে যান বাড়ি থেকে । চন্দ্রচূড় বাবুর কথায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিখ আই.পি.এস যশপ্রীত সিংকে খালিস্তানি বলে ভারতের আত্মাকে অপমান করেছেন । শিখ বন্ধুরা নিজের ধর্ম ও দেশমাতৃকার রক্ষার্থে অতীতে যেভাবে আরবীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পরাক্রম দেখিয়েছেন এবং আত্মবলিদান দিয়েছেন তা ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে । দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও বাঙ্গালী এবং পাঞ্জাবীদের আত্মবলীদান সবচেয়ে বেশি । বাংলার মাটি সব সময় সম্প্রীতির মাটি । শুভেন্দু যদি মনে করেন এখানে ইংরেজদের মত Devide And Rule নীতি প্রয়োগ করে রাজনৈতিক মুনাফা তুলবেন তাহলে এক কথায় তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক । যখন পৃথিবীতে অন্য কোন মজহবের জন্মই হয়নি তখনই ভারতবর্ষ সারা পৃথিবীকে শিখিয়েছে “বসুধৈব কুটম্বকম”। সেই দেশে পাগড়ি পড়ার জন্য কোন শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিকে খালিস্থানি বলাকে কোনো সভ্য সমাজ সমর্থন করে না । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জাতিবিদ্বেষ মূলক মন্তব্যের জন্য ওনাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে । উনি ক্ষমা না চাইলে অখিলভারত হিন্দুমহাসভা আগামী দিনে শিখ প্রতিবাদী মঞ্চের সাথে সমন্বয় রেখে সমস্ত ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলোর কাছে যাবে বিচারের দাবি নিয়ে । লোকসভা নির্বাচনের আগে খালিস্থানী বিতর্ক যে হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী এবং বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মুখ সমরে এনে দাঁড় করালো সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *