সঙ্কেত ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। তাঁর পূর্ব কলকাতার বাড়িও নিশানায়। বেশ কয়েকবার সেখানে জমায়েত লক্ষ্য করা গিয়েছে, স্লোগানও উঠেছিল বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় তাঁর গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই উপযুক্ত নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, পুলিশ প্রশাসনকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর পরিবাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

গত ৯ অগস্ট আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষকে নিয়ে অনেক ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। যার দরুন তাঁর বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। আদালতে সন্দীপ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সুরক্ষার দাবি জানান তিনি।

এমনকি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তা-ও সঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন সন্দীপ। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে হামলা হতে পারে বলে আদালতে জানান সন্দীপ।বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। আর সেই বাড়িতেই স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন সন্দীপ ঘোষ। সেখানে হামলার আশঙ্কা করছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তাঁর আইনজীবী।
বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতে সন্দীপ জানিয়েছিলেন, আরজি করের ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির সামনে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক জমায়েত করছেন। গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাজ্য অথবা কেন্দ্র, যে কোনও নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যের তরফে অবশ্য স্পষ্ট করা হয়, বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পিকেট রয়েছে। বাড়ির নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন স্বয়ং বেলেঘাটা থানার ওসি। রাজ্যের বক্তব্য শুনে মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, মামলাকারীর বাড়ির সামনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে।

প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। গত শুক্রবার থেকে প্রতি দিনই তাঁকে তলব করা হচ্ছে। বুধবারও সকালে তিনি হাজিরা দিয়েছেন সিবিআই দফতরে। প্রতি দিন সকালে যাচ্ছেন, রাতে ছাড়া হচ্ছে সন্দীপকে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *