নিজস্ব প্রতিনিধি:সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে রেল রোকো কর্মসূচি চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার সকাল থেকে বনধ সফল করতে আদিবাসীরা নেমে পড়েন রেললাইনে। একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। আটকে পড়ে হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এই বিক্ষোভ চলাকালীন উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা আসানসোলের কালিপাহাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে এবং সারনা ধর্ম কোড কার্যকর করার দাবি জানায়। পরে আরপিএফ অফিসাররা তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এই রেল অবরোধের কারণে অনেক ট্রেন দেরিতে চলছে।
শনিবার সকাল থেকেই রেল অবরোধ শুরু করেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। তার ফলে আটকে রয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। পুরুলিয়ার কাঁটাডি স্টেশনে অবরোধ চলছে। তার ফলে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পুরুলিয়া চান্ডিল শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। পুরুলিয়া স্টেশনে আটকে রয়েছে রাঁচি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেল সূত্রের খবর, এই ট্রেনটিকে চান্ডিলের দিক দিয়ে ঘুরিয়ে হাওড়ার দিকে পাঠানো হতে পারে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের তরফে ১২ ঘণ্টার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই চলছে অবরোধ। কেবল পুরুলিয়া নয়, অবরোধ চলছে অন্য জেলাগুলিতেও। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে পুলিশ৷ কিন্তু এখনও অবরোধ তোলা যায়নি।
মালদার আফিনা স্টেশনেও রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধ চলছে পশ্চিম বর্ধমানের কালিপাহাড়ি স্টেশনেও। বনধের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচলেও। নিম্ন অসমে রেল অবরোধের জেরে বাংলা-অসম সীমানা এলাকার বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছে ট্রেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে জোড়াই স্টেশনে। অসমের শ্রীরামপুর স্টেশনে আটকে পড়েছে গুয়াহাটিগামী অসম এক্সপ্রেস। গোসাঁইগাও স্টেশনে থমকে আছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সব মিলিয়ে শনিবার সকাল থেকেই ব্যাহত ট্রেন চলাচল।