সঙ্কেত ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’।নবান্ন অভিযানের দিন তুমুল অশান্তি ছড়ায় কলকাতা ও হাওড়ার দিকে দিকে। আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ-এর নবান্ন অভিযানে গণ্ডগোল করার অভিযোগে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে। গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল সায়নকে। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে গতকালই বিচারপতির সিনহা রাজ্যকে তুলোধনা করেছিলেন। ‘প্রভাবশালী’ যুক্তি দেখিয়ে সায়নের মুক্তি ঠেকাতে রাজ্য নানা যুক্তি খাড়া করেছিল। তবে কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দারস্ত হয় রাজ্য সরকার। তবে শনিবার সায়ককে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন দুপুর ২টোর মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ।
এদিন জেল থেকে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন সায়ন লাহিড়ী। পুলিশ দমন-পীড়নের ধারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নবান্ন অভিযানে ধৃত বাকিদের মুক্তির জন্যও তাঁদের লড়াই জারি থাকবে বলে এদিন সায়ন জানিয়েছেন।এদিন বলেন, “পাশে থাকার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যতদিন পর্যন্ত নির্যাতিতা দিদি বিচার না পাবেন ততদিন আন্দোলন চলবে। হাইকোর্টের রায়ে খুশি।”
জেল-মুক্তির পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সায়ন। আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর নৃশংস পরিণতির বিচার না হওয়া অবধি তাঁদের লড়াই চলবে বলে এদিন জানিয়েছেন সায়ন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *