সঙ্কেত ডেস্ক: ৪ দশক পর এল চাকরির চিঠি। মামলার পর কেটে গিয়েছে ৪ দশক। আর সেই চাকরির নিয়োগপত্র মিলল ২০২৪-এ! ১ জন নয়, তালিকায় এমন ৪ জন রয়েছেন যাঁদের মৃত্যুর পরে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র প্রকাশ হয়েছে। অন্যদিকে ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন পেয়েছেন প্রাথমিক স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র।
বিষয়টি কয়েক দশক আগের । প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও প্রাইমারি স্কুলে চাকরি মেলেনি বাম আমলে!প্রশিক্ষণের পরেও চাকরি না পাওয়ায়,সুরাহা পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ১৯৮৩ সালে মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
গত ২০ ডিসেম্বর সেই মামলায় নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। ২০১৪ সাল থেকে তাদের কর্মজীবন শুরু হয়েছে বলে ধরতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।এর পর নিয়োগপত্র জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
সেই অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তির পর প্রাথমিক স্কুলে চাকরির
নিয়োগ পত্র মেলে ২০২৪ সালে। তবে ফল পাওয়ার অপেক্ষাতেই কেটে গেছে জীবনের অধিকাংশ সময়। এখন সকলেই অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছেন। কারও আবার মৃত্যুও হয়েছে। এবার তাঁদের নামেই এল প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগপত্র। সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ার পার্সন ৬৬ জনের নিয়োগ পত্র দেন। এই বয়সে নিয়োগপত্র পেয়ে আকাশ থেকে পড়ছেন প্রবীণরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূলের আমলে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে শ্রীঘরে গিয়েছেন তাবড় নেতা মন্ত্রী। জেলে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীসহ একাধিক তৃণমূল বিধায়ক,শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। এই প্রেক্ষাপটে হুগলির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ৬৬ জনের নিয়োগ পত্র দেওয়া নিয়ে ছাড়িয়েছে চাঞ্চল্য