সঙ্কেত ডেস্ক: হোমের শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল বিচারাধীন নির্যাতিতা নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপাড়ায়। প্রশ্ন উঠছে হোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন সকালে হোমের শৌচাগারে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হোমের অন্যান্য নাবালিকারা। এরপর খবর দেওয়া হয় হোম কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কেন ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় হোম কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়,ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির একটি চা বাগানে ধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী। পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করেছিল পুলিশ। পাকড়াও করা হয়েছিল অভিযুক্তকে।বর্তমানে ওই অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা নাবালিকা শিলিগুড়িতে সিডব্লুসি অনুমোদিত ওই হোমেই থাকছিল।এরপর বুধবার সকালে সেই হোমের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ।
চলতি বছরের অগস্টের কথা। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে।