১৪বছর আগে টাকা দিয়েও মেলেনি জমি , এডিডিএ এর সামনে বিক্ষোভ জমি প্রাপকদের
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ: শিল্পশহরে নিজের বাড়ী তৈরীর জন্য ২০১০ সালে এ.ডি.ডি.এ. লটারি পদ্ধত্তিতে কো-অপারেটিভ হাউজিং-এর মাধ্যমে জমি (জি+৩ এবং জি+৪) বন্টনের সিদ্ধান্ত নেয়, এ.ডি.ডি.এ-এর শর্ত মোতাবেক কো-অপারেটিভ হাউজিংগুলি ২০০০ টাকার রেজীষ্ট্রেশান চার্জ ও জমির মূল্যের ১০ শতাংশ টাকা জমা করে। তৎকালীন সময়ে লটারির মাধ্যমে ৪৯টি প্রস্তাবিত হাউজিং কো-অপারেটিভ নির্বাচিত হয়। তারপর দামোদর দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর বহু জল গড়ালেও এ.ডি.ডি.এ-এর টালবাহানায় আজ পর্যন্ত উপরিউল্লিখিত প্রস্তাবিত হাউজিং কো- অপারেটিভগুলি তাদের প্রাপ্য জমি পায়নি। এমনকি ঐ সমস্ত প্রস্তাবিত হাউজিং কো-অপারেটিভগুলির সদস্যগণ এ.ডি.ডি.এ-এর নিয়মের জালে পড়ে অন্য কোন জায়গায় জমির কিনতে না পারায় বিপাকে পড়ে। এমতাবস্থায় ঐ সমস্ত প্রস্তাবিত কো-অপারেটিভ গুলি বার বার এ.ডি.ডি.এ- এর নিকট আবেদন নিবেদন করলেও কোন সুরাহা মেলেনি।তারই প্রতিবাদে আজ দুর্গাপুর আসানসোল উন্নয়ন পরিষদের মুখ্য কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিনের এই আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে দুর্গাপুর উর্বশী ওয়েলফেয়ার এর কর্মকর্তা রাজু দে বলেন ২০১০ সালে এডিডিএ এর নিয়মানুসারে আমরা রেজিস্ট্রেশন ফ্রি ও জমির মূল্যের দশ শতাংশ সহ আবেদন করি,পারে লটারিতে আমরা নির্বাচিত হলেও এডিডিএ দীর্ঘ দিন ধরে নানান টালবাহানায় আমাদের এড়িয়ে চলছে এমনকি বিষয়টি নিয়ে ডিএসপি ও আমাদের সঙ্গে নিয়ে এক ত্রিপাক্ষিক আলোচনা করে আমাদের প্রাপ্য জমি আমাদের হাতে তুলে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী পর্যায়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে আড্ডা কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে দেখা না করেই আমাদের বের করে দেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন “কার্যত আড্ডা কর্তৃপক্ষ চাইছে আমাদের জন্য বরাদ্দ জমি আমাদের হাতে তুলে না দিয়ে বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রি করতে যে কারণে আমাদের সমস্যা নিয়ে তাদের এই দীর্ঘসূত্রতা। ”
আন্দোলনকারীদের আরও অভিযোগ যদিও গত ১৪ বছরে এ.ডি.ডি.এ. শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রমোটারদের জন্য জমি বরাদ্দ করলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে এই সমস্ত হাউজিং কো- অপারেটিভগুলির সঙ্গে এ.ডি.ডি.এ. বিমাতৃসুলভ আচরন করে চলেছে। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যম এবিষয়ে আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্তকে প্রশ্ন করলে বিষয়টি বিচারাধীন বিষয় বলে তিনি কোন মন্তব্য করেনি ।।