সঙ্কেত: চলতি অর্থবর্ষের শেষে জিইএম (গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস)-এর মাধ্যমে সংগৃহীত পণ্যের মোট অর্থমূল্য চার লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি সরকারি সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থার সাফল্য এবং স্বচ্ছতার বার্তা দিচ্ছে। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় এই অর্থবর্ষে জিইএম-এর মাধ্যমে ব্যবসার হার বেড়েছে ২০৫ শতাংশ।
সরকারি পোর্টাল ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে সরকারি টেন্ডারে অংশ নিতে পারছেন। এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির সক্রিয়তাও নজর কেড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে জিইএম-এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সহ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির। ৪ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থই এসেছে এইসব সংস্থার সক্রিয়তার কারণে। উল্লেখযোগ্য হল, কেন্দ্রীয় স্তরে সর্বোচ্চ সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে কয়লা, বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এবং তাদের সহযোগী সংস্থাগুলি। জিইএম-এর ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষের বেশি সরকারি ক্রেতা এবং ২১ লক্ষ বিক্রেতা রয়েছেন। এই সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ৮৯,৪২১টি পঞ্চায়েত এবং ৭৬০টির বেশি সমবায়কে যুক্ত করার ফলে সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় গতি এসেছে।
জিইএম-এর সিইও শ্রী পি কে সিং বলেন, এই সরকারি ব্যবস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কারিগর, কলাকুশলী, হস্তশিল্পী, মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির আয় বেড়েছে। ১২,০৭০টির বেশি পণ্য এবং ৩২০-রও বেশি পরিষেবার ক্ষেত্রে জিইএম ‘ওয়ান স্টপ শপ’ হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে এই পোর্টালের সূচনা হয়েছিল এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে ৪ লক্ষ কোটি টাকায়।